জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটা শুনলাম। ঠিক বুঝতে পারলাম না, যে উনি আসলে কি বুঝাইতে চাইলেন।
ঘুরে ফিরে ঐ বিচার বিভাগকেই দেখাইলেন।
একটা দেশের মধ্যে এতো বড় বিশৃঙ্খলা চলছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে ও অনেক অনেক আহত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতে একজন সরকার প্রধানের কাজ থাকে যেকোন মূল্যে পরিস্থিতি ঠান্ডা করা। যাতে এই অবস্থার সুযোগ বিরোধী পক্ষ না নিতে পারে সেই ব্যবস্থা করা।
এই মুহুর্তে আন্দোলন থামানো ও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা খুশি হয় এমন কিছু বলা দরকার ছিলো। কিন্তু উনি সেটাও করলেন না। লিখে আনা বক্তব্যটা স্ক্রিন দেখে পড়ে গেলেন শুধু। আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে, উনাকে যারা বক্তব্য লিখে দেয়, তারা আসলে কারা?
সেই সাথে একজন সরকার প্রধানের তো এমন কিছু করাটা একদম মানায় না। গণতান্ত্রিক দেশে,  দেশের মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে, শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দিয়ে যদি কিছু নাইই বললেন তাহলে এই বক্তব্যের কি দরকার ছিলো? আপনি কি চাচ্ছেন না পরিস্থিতি শান্ত হোক?

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে ইসলাম ধর্মের চর্চা হয়না বললেই চলে। ফিলি/স্তিনে হাম/লা নিয়ে আগে কখনোও তারা সেই ভাবে কথা বলে নি। এইবারের মানবিক বিপর্যয়ে তারা মানবিকতার পক্ষে থাকবে কি থাকবে না এইটার ইস্যুতে বিরোধী দল কথা বলার সুযোগ যাতে না পায় সেজন্য তারা তড়িঘড়ি করে ফিলি/স্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যাতে বিরোধী পক্ষ সরকারকে দোষারোপ না করতে পারে যে, মধ্যপ্রাচ্যের মানবিক সংকটে কেন সরকার কথা বলছে না। মানে এইরকম ছোট খাটো বিষয়ও সরকার আমলে নিয়েছে দেশের অবস্থা আরোও ভালো ও সুষ্ঠু রাখার জন্য।
মানে সরকার পরিস্থিতির সর্বোচ্চ সুযোগ নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমার দেশে সরকার পরিস্থিতি সামাল না দিয়ে বরং এইটা লম্বা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। কেন? আন্দোলন লম্বা করে সরকারের লাভ কি?  প্রশসনিক হামলা চালিয়ে আন্দোলনকে উস্কে দিয়েও আসলে সরকারের লাভ কি?
মাথায় ধরছে না।
আমি শুধু শান্তি চাই।