আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি পুরাতন রাজনৈতিক দল।
1। উচ্চ স্বরঃ গত তিন বার অর্থাৎ 15 বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। যার ফলে নেতা কর্মী দের মধ্যে দাম্ভবিকতা তৈরি হয়েছে। যেখানে যায় সেখানেই উচ্চ স্বরে কথা বলা, যাকে তাকে ধমকানো তাদের নিত্য দিনের কাজ। যেটি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। যার কারণে আওয়ামী সরকার বদলানো দরকার।
2। পাতি নেতার উপদ্রবঃ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য অনেক পাতি নেতারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় মাথা ও গলা দুইটিই উচু করে কথা বলা শুরু করেছে। তাদের আর ঠেকায় কে? এলাকায় বা আশে পাশে যে গলা উচ্চ করে বা উচ্চস্বরে কথা বলছে সে আওয়ামী লীগ করে। তার মধ্যে আইনের ভয় বলতে কিছুই নেই। “আওয়ামী সরকার বদলানো দরকার”
3। আখের গোছানোঃ হাসিনার সরকারের বা আওয়ামী লীগ শাসন আমল 15 বছরে পা দিল। যেটি যেকোন দেশের রাজনৈতক ইতিহাসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। এপর্যন্ত খুবই কম রাজনৈতিক দল আছে যারা এত লম্বা সময় ক্ষমতার থাকতে পরেছে। যার কারণে আওয়ামী লীগ কর্মীরা বুঝতে পারছে যে তারা যে কোন সময়ে ক্ষমতার আসন থেকে নেমে যেতে হতে পারে। তাই তারা যে যত টুকু পরে সে তত নিজের থলি ভরা শুরু করে দিয়েছে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধা। “আওয়ামী সরকার বদলানো দরকার”
4। বেপরোয়া হওয়াঃ শেখ হাসিনা সরকার ওরফে আওয়ামী লীগ সরকার ভোট চুরি করে যেভাবে ক্ষমতায় থেকে যাচ্ছে যেটি দেখে নেতাকর্মী থেকে শুরু করে পাতি নেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যখন যার মনে যা আসছে তাই মুখে বলে দিচ্ছে । মানুষকে চোখে কানা ও কানে কালা হিসাবে দেখছে। নিজেদের অন্যায় ঢাকার জন্য নিজেদের মতো কাহিনী বানিয়ে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করছে। যার দেখে বলা যায়, “আওয়ামী সরকার বদলানো দরকার”
5। সম্পদের অপচয়ঃ আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিনিয়ত যেখানে সেখানে পুল, কালভার্ট ইত্যাদি অবকাঠামো গত উন্নয়নের নামে বিপুল পরিমাণ বাজেট পাশ করছে। সেই বাজেটের অর্ধেকই চলে যাচ্ছে নেতাদের পকেটে। কখন কখণও দেখা যায় সেই পুল কালভার্ট গুলো এমন জায়গায়/স্থানে তৈরি করা হয়েছে যেগুলো পুরাই অপ্রয়োজন হয়ে পড়ে আছে। 2018-19 সালের দিকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি করলো বাংলাদেশ, যা কিছু তার তৈরির অর্থই উঠাতে পারছে না। তারপরও আবার বঙ্গবন্ধু-2 স্যাটেলাইটের জন্য বাজেট পাশ হয়েছে। এটি অপচয় ছাড়া আর কি? এছাড়াও বিভিন্ন মিছিল, সমাবেশ, সরকারি অনুদান, সেতু, রাস্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিপুর পরিমাণ অর্থ বাজেট দেওয়া হচ্ছে যার সামান্য পরিমাণ ভোগ করছে জনগণ।
0 মন্তব্যসমূহ